ভাঙাচোরা

স্টেশন এ ঢুকে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই রাই একছুট্টে ট্রেন এ উঠে পড়ল ।আজ আর এতটুকু দাঁড়াতে ইচ্ছে হলোনা ওর।পেছন না ফিরে সোম কে বলল আসি রে। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে নিস্পলক দুজন দুজনকে দেখলো,তারপর ……।
অফিস থেকে বেরিয়ে সোম এর সাথে খানিকক্ষন সিটি সেন্টার এ বসে আড্ডা খুনসুটি,তার পর বাড়ি। না না প্রতিদিন না ,আজ এই এক সপ্তাহ যাবৎ। হুর হুর করে দিন কাটছে রাই এর। ওদের আলাপ এইতো কিছুদিন ,ওই চার পাঁচ মাস হবে, এই কদিনেই দিন রাত বকম বকম ,চ্যাট, স্কাইপ আরও কত কি।
সন্ধে বেলা অফিস এর বাইরে বেরোলেই দূর থেকে সোম কে দেখে সারাদিনের কাজের চাপ কেমন যেন বাষ্প হয়ে উবে যায়।
তারপর হাত ধরে করুনাময়ী,সেখান থেকে অটোয় করে সিটি সেন্টার।কখন মোমো ,কখন ফুচকা,কোল্ড ড্রিংকস ,তারপর এক দের ঘন্টা আড্ডা। সোম যেন হটাৎ করেই রাইয়ের একটুকরো পৃথিবীর অনেক খানি দখল করে ফেলেছে।রাই এর ইচ্ছে করে সোম কে সবটা জানাতে, বোঝাতে কিন্তু সাহস হয়না।আজ হঠাৎ বলে বসল – সোম তুই না থাকলে আমার পৃথিবী টা ফাঁকা জানিস !
উত্তর এলো- এরকম টা সবাইকে বলিস নিশ্চই??

খুব ইচ্ছে করলে ঠিক ওই মুহূর্তে উঠে চলে আসতে,আর কক্ষন না ফিরতে।গলার কাছে কি যেন একটা আটকে গেল রাই এর।একটা চাপা দুঃখ ,অপমান কুন্ডলি পাকিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো। না না রাই কাদঁবেনা।বহু কষ্টে নিজেকে সামলে একগাল হেসে কথা ঘুড়িয়েছিলো।
রাই আর ভালো থাকার লোভ করেনা ,কারণ ও জানে একটু ভালো থাকলে ঠিক তারপরই অনেকটা খারাপ থাকতে হয়।

– সুপর্ণা ঘোষ ( ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭)

 

Megh Bristi

Megh Bristi

“মেঘ বৃষ্টি” আসলে আমার ডাইরির পাতা। কিছুটা কল্পনা, কিছুটা ছেলেমানুষি, কিছুটা অভিমান আর অনেকটাই স্মৃতি। ছোটবেলা থেকেই লিখতে ভালো লাগতো, ভাবতে ভালো লাগতো। ডাইরির পাতায় কত আঁকিবুঁকি, কত কাটাকুটি, কত দুষ্টুমি আছে। যতটা সম্ভব “মেঘ বৃষ্টি” তে তুলে ধরলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *