About

নিজের কথা লিখতে গেলে গুলিয়ে যায়, বলতে জিভ জড়িয়ে যায়। তবুও নিজের কথা বলতে কার না ভালোলাগে!

ছেলেমানুষী করে একটি কবিতা লিখি প্রথম যখন অষ্টম শ্রেণী,
স্কুলের ম্যাগাজিনে প্রথম লেখা বেরোয়, মা ভাবলো মেয়ে আমার অসম্ভব ব্রেনি।

তারপর আস্তে আস্তে ভালো লাগা, খারাপ লাগা, আনন্দ, দুঃখ
বন্দী করি ডাইরির পাতায়, পাতার ভাঁজে জমায় স্মৃতি সুক্ষ।

টুকরো স্মৃতি চার লাইনে বন্দী
সে ছিল ভালো থাকার অনন্য এক ফন্দি।

ছাদের পাঁচিল, সন্ধ্যা বাতি, মায়ের আদর, বাবার লাঠি।
সবই আছে জমিয়ে খাতা, স্কুল যাবার ওই সবুজ ছাতা।

বড় হওয়ার সাথী ছিল রং পেন্সিল, ড্রয়িং বুক,
হারমোনিয়াম, সমস্ত কিছুর সময় ছিল বাঁধা।
দুষ্টু ছিলাম ভীষণ রকম, খেলার সাথী বলতে “পাপ্পু” দাদা,
এমনিতে মা বলে আমি বেজায় বোকা হাঁদা।

সময়ের সাথে বয়স বাড়ে, গায়ের রং কালো,
চিন্তা তখন সবার মাথায়, ভাল ঘর ভালো বর, পেলেই হয় ভালো।

বকা খাওয়ার, বা তরকারিতে বেশি ঝাল,
লিখে রেখেছি খাতা ভোরে, এই আমার কবিতার হাল।

তারপর এলো প্রেম, বিরহ, দুঃখ, জ্বালা,
কত লিখেছি ভাসিয়ে বুক, জুড়েছি ফের পুঁথির মালা।

ভালোলাগে ছড়া কাটা, হঠাৎ হঠাৎ গানের ভেলা,
ভালোলাগে ওই মিঠে রোদে কাঠবেরলির দুস্টু খেলা।

সেথায় বসে পদ্য লিখি,
মন কেমনের গল্প মাখি।
ছোট্ট করে দু-চার লাইন,
সাদা পাতায় আঁকিবুঁকি কাটি।

তারপর একদিন এই ডাইরিটি পেলাম উপহার বেশে
বন্ধু আমার প্রাণ সখা দিল ভালোবেসে।

বলেছে রাখবে সে শুরু শেষ গুছিয়ে,
হৃদস্পন্দন আছে তার “মেঘ বৃষ্টি” তে লুকিয়ে।